শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তারের উপবৃত্তির টাকা দীর্ঘদিন ধরে অন্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে উত্তোলন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. সহিজ উদ্দিন, যিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন— তার মেয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও প্রায় চার বছরের উপবৃত্তির টাকা পাননি। এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সচিব মো. খোরশেদ আলম, যিনি বর্তমানে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নে সচিব হিসেবে কর্মরত।
অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির আইডি নম্বর ছিল ৯১ এবং প্রকৃত মোবাইল নম্বর ০১৯০৪-৯৩৪১২৬। কিন্তু সচিব খোরশেদ আলম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তার ব্যক্তিগত নম্বর ০১৯১২-৮০১৮৭৭ ব্যবহার করে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও কোনো ফল হয়নি।
অভিযোগকারী সহিজ উদ্দিন বলেন, “আমি গরিব মানুষ, আবার শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। মেয়ের পড়াশোনার খরচের জন্য উপবৃত্তির টাকা খুব দরকার ছিল। অথচ সেই টাকা অন্যরা আত্মসাৎ করেছে। আমি আমার মেয়ের প্রাপ্য টাকা ফেরত চাই এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা দাবি করছি।”
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সচিব মো. খোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে