নরসিংদীর পলাশে এক প্রবাসীর বাড়িতে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ ভূঁইয়াকে দলীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার তিন মাস না যেতেই সেই সমালোচিত নেতার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকালে পলাশ উপজেলা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পলাশ থানা ও ঘোড়াশাল পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পলাশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ বাছেদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন দলীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া।

এ ঘটনাকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, কাউছার ভূঁইয়ার মতো বিতর্কিত নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করায় দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এতে প্রকৃত অপরাধীর অপরাধকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, “এটি আমার একার বিষয় না। দলের কারো আপত্তি না থাকায় কাউছার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ মে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কাউছার ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মালিতা গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তার নামসহ আরও ৬ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পলাশ উপজেলা বিএনপি। বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি ড. আব্দুল মঈন খানের নজরে এলে তার নির্দেশেই ২৮ মে রাতে পলাশ উপজেলা বিএনপি কাউছার ভূঁইয়াকে দলীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়।
তখন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানিয়েছিলেন, “২৫ মে মালিতা গ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ড. আব্দুল মঈন খানের নির্দেশে মৌখিকভাবে কাউছার ভূঁইয়াকে প্রাথমিকভাবে সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে