গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গ্রামীণ প্রান্তরে লুকিয়ে আছে এক অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার—আটাডাঙ্গা বাওড়। বহু বছর ধরে এটি স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার অন্যতম আশ্রয়স্থল হলেও, সঠিক পরিকল্পনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে এটি হয়ে উঠতে পারে পর্যটনপ্রেমীদের নতুন নৌভ্রমণ গন্তব্য।
বর্ষার সময়ে চারপাশের সবুজ মাঠ, শ্যামল গাছপালা এবং আকাশের নীলিমা মিলেমিশে বাওড়ের পানিতে আঁকে অপূর্ব এক প্রতিচ্ছবি। ভোরের আবছা ধোঁয়াশা কিংবা বিকেলের সোনালি আলোয় এই জলাশয়ের দৃশ্য মনকে এক অন্যরকম প্রশান্তি এনে দেয়। নৌকায় বাওড়ের বুকে ভেসে চলতে চলতে পাখির কলতান ও ঢেউয়ের মৃদু শব্দ যেন সময়ের হিসাবই হারিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা মনে করেন, পর্যটন অবকাঠামো উন্নত হলে এখানে গড়ে উঠতে পারে রিসোর্ট, নৌভ্রমণ কেন্দ্র এবং স্থানীয় পণ্যের বাজার, যা শুধু বিনোদনই নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিতেও আনতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন।
প্রকৃতি প্রেমী কিংবা শহুরে কোলাহল থেকে মুক্তি খুঁজছেন এমন যেকোনো মানুষের জন্য আটাডাঙ্গা বাওড় হতে পারে এক অপরূপ নীরবতার আশ্রয়।
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে