চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন প্রান্তিক কৃষক অভি বড়ুয়া। তার বাড়ি উপজেলার ৯ নম্বর আমুচিয়া ইউনিয়নে। উচ্চমূল্যের সবজি উৎপাদনে স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পেটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিএপি) এর আওতায় এ আবাদ করে তিনি সাড়া ফেলেছেন, যা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকরাও।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসের শেষের দিকে এসএসিএপি প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো বোয়ালখালীতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর দুটি প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়। সাধারণত টমেটো শীতকালীন ফসল হলেও বর্তমানে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালেও চাষ সম্ভব হচ্ছে। এতে অসময়ে বাজারে টমেটোর চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
গতকাল সকালে কৃষক অভি বড়ুয়ার টমেটো ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় দুলছে কাঁচা ও পাকা টমেটো। অভি জানান, মে মাসের শেষের দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ৮ শতক জমিতে হাইব্রিড বারি-৮ জাতের ৫০০টি চারা লাগান। সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। টানা বৃষ্টিতে কিছু চারা নষ্ট হলেও ইতোমধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ কেজি বিক্রি করেছেন এবং আরও ৮০-১০০ কেজি বিক্রির আশা করছেন, যা থেকে খরচ বাদে প্রায় ১২ হাজার টাকা মুনাফা হবে।
তিনি বলেন, “সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে অল্প জমিতে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারও কম লাগে, ফলে খরচ কমে আসে।”
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ জানান, মালচিং পদ্ধতিতে বিশেষ পলিপেপার দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি ঢেকে দেওয়া হয়, যা আগাছা দমন, মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও মাটির গুণাগুণ উন্নত করতে সাহায্য করে। স্কাইনেট ব্যবহারে ফসলকে অতিরিক্ত রোদ, বৃষ্টি, পোকা ও পাখির ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে অল্প জায়গায় অধিক মুনাফা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে