একুশে সংবাদ অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ জন চাষি প্রণোদনার ধানবীজ পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন চাষিদের হাতে এসব বীজ তুলে দেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা বর্ষণে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ৪৬.৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ৮ আগস্ট একুশে সংবাদ অনলাইন পোর্টালে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে ক্ষতি কিছুটা লাঘবের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১৫০ কেজি স্বল্পায়ুশীল জাতের বিনা-৭ ধানের বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে ওই বীজ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এ সময় কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, “টানা বর্ষণে উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সংবাদ প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রণোদনার বীজ বরাদ্দ দেন। এই বীজ মাত্র ১০৫ দিনে ফলন দেবে, যা কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে সহায়ক হবে।”
তিনি জানান, এ বীজ ৩০ জন চাষির মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন এলাঙ্গীরের আলমগীর হোসেন, রহমত উল্লাহ, বলারামপুরের জুলফিকার আলী, গুড়পাড়ার বজলুর রহমান, কাঠালিয়ার রাজন হোসেন ও জিহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক।
কাঠালিয়া গ্রামের চাষি জাহিদ হোসেন বলেন, “বৃষ্টিতে আমার দুই বিঘা জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি অফিস থেকে বীজ পেয়ে নতুন করে চাষ শুরু করবো। ভালো ফলন হলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।”
গুড়পাড়া গ্রামের চাষি বজলুর রহমান জানান, “আমার ১৭ কেজি ধানের চারা নষ্ট হয়েছে। বাজার থেকে কিছু বীজ কিনে বীজতলা করেছি। আজ পাওয়া এই বীজ দিয়ে আরও বীজতলা তৈরি করবো।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে