আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে নির্বাচনী তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। কে হবেন বিএনপির মনোনীত “ক্লিন ইমেজ” প্রার্থী—এই প্রশ্ন নিয়েই চলছে সরগরম রাজনৈতিক যুদ্ধ।
বিজয়ী আসনে মোট ছয়জন বিএনপি মনোনয়নপ্রার্থী মাঠে রয়েছেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সাবেক এমপি অধ্যাপক মজিবুর রহমান একক প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে ঘোষণা পেয়েছেন।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জিয়া ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব, সাবেক মহানগর বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কেএম জুয়েল এবং বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান খান মার্কনি।
তবে মাঠে তরুণ মুখ অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকই এগিয়ে আছেন। তিনি দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন, মামলা-হামলায় আক্রান্ত নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। এর ফলে অন্যদের থেকে তিনি অনেকটাই এগিয়ে।
উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতারা জানান, ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন আধিপত্য ধরে রাখার চেষ্টা করলেও দল ও জনগণের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন। দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও দুইটি হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। এই কারণে তিনি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে মাঠে পিছিয়ে পড়েছেন।
মনোনয়নপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, “আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সর্বদা সামনের সারিতে ছিলাম। মনোনয়ন পেলে দলের জন্য কাজ করবো, প্রয়াত মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করব। দলের মনোনয়ন অন্য কাউকে দিলে তার পাশে থাকবো। আমরা একযোগে কাজ করে তানোর-গোদাগাড়ী আসনটি জিততে চাই। দখলবাজি ও অশান্তি কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।”
তানোর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শামসুল আলম ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী ছাড়া জয় কঠিন। শরীফ উদ্দিন এলাকায় দলকে বিভক্ত করেছেন, যা দলের জন্য ক্ষতিকর। শেষ সিদ্ধান্ত কেন্দ্রে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে, তবে দলের বেশিরভাগ নেতা-কার্যকর্তা আমাকে প্রার্থী হিসেবে চান।”
অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, “আমি জামায়াত থেকে প্রার্থী, আশা করছি জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবেন।”
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে