আগে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার অভাবে অনেক মানুষ মারা যেত, কষ্ট পেত কিংবা পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করত। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নত শাখাগুলোর আবিষ্কারের ফলে এখন অনেক রোগ ও শারীরিক অক্ষমতা জয় করা সম্ভব হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র শাখা ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে বাত ব্যথা, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, ঘাড়, মেরুদণ্ড, হাঁটু, কোমর ও পিঠের ব্যথা, প্রতিবন্ধিতা এবং খেলাধুলাজনিত চোটের মতো সমস্যায় কার্যকর চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় এ ধরনের বিশেষায়িত সেবা দিচ্ছেন নিয়ামতপুর ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. মো. আরব আলী। নিয়ামতপুর বাজারের তিনমাথা মোড় থেকে পশ্চিমে আলিম মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত এই সেন্টারে প্রতিদিনই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা রাজিয়া সুলতানা বলেন, “পায়ের সমস্যায় রাজশাহীতে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হইনি। গ্রামের এক আত্মীয়ের পরামর্শে এখানে এসে চিকিৎসা নিয়ে এখন ভালো আছি।”
আরেক রোগী আশরাফুল ইসলাম জানান, “হাঁটুর ব্যথায় রাজশাহীতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হইনি। এখানে চিকিৎসা নিয়ে ভালো আছি। আজ স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি।”
আফিকের মা বলেন, “আমার ছেলের অনেক সমস্যা ছিল। এখানে চিকিৎসা নিয়ে এখন সে সুস্থ।”
ডা. মো. আরব আলী জানান, “এখানে বাত ব্যথা, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, ঘাড়, মেরুদণ্ড, হাঁটু, কোমর ও পিঠের ব্যথা, প্রতিবন্ধিতা এবং স্পোর্টস ইনজুরিসহ নানা সমস্যার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এক দিনের চিকিৎসায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্থায়ী উন্নতি আসে না, তবে এই পদ্ধতিতে রোগীর খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অনেক রোগী বছরের পর বছর ওষুধ খেয়ে ভালো না হয়ে শেষ পর্যায়ে এখানে এসে উপকার পান।”
তিনি আরও জানান, “একবার থেরাপি নিলে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে যান। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে এবং পর্যবেক্ষণে মাসে এক-দুইবার থেরাপির প্রয়োজন হয়। এখানে একজন মহিলা ডাক্তারও ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করেন।”
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে