বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সরকারের প্রণীত শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রম মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন নবনিযুক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জুয়েল।
বীর রহিমুল্লাহর স্মৃতি বিজড়িত, সুন্দরবন-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী ৪৩৮ বর্গমাইল আয়তনের এই উপজেলায় রয়েছে ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা। এখানে ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন প্রায় ১,৮০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার।
গত ২৩ জুন আতিকুর রহমান জুয়েল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
এ বিষয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “মোরেলগঞ্জের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার মান আরও উন্নয়ন করা হবে। ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশে অভিভাবকদেরও আরও সচেতন করতে হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। আমরা চাই, মোরেলগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা দেশব্যাপী একটি মডেল হোক।”
তিনি বলেন, “সরকারের পাঠ্যক্রম ও শিক্ষানীতি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। শিক্ষকদের পরামর্শ ও তদারকির মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করব। বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। পাশাপাশি মা সমাবেশ ও অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করে তাদের সচেতন করে তুলব।”
শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, “মৌলিক শিক্ষার ভিত্তি গড়ে দেয় প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাই এসব বিদ্যালয়ে পাঠদানের পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি দূরীকরণ এবং টিনশেড বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে অধিদপ্তরে পাঠানোসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি স্বীকার করেন, জনবল সংকটের কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আতিকুর রহমান জুয়েল আরও বলেন, “শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজের সকলকে সচেতন করতে হবে। স্থানীয় অংশীজনদের সহায়তায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, সরকারি সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ-লিখন দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে