ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড় হয়ে পৌর টাউন হল মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্যসচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিবসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল ও মৎস্যজীবী দলের নেতারা।
বক্তারা বলেন, “বিএনপি হলো গণমানুষের দল। দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে হলে সকল নেতাকর্মীকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও রাষ্ট্র সংস্কারের ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের পতনের ইতিহাস এ দেশের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক শিক্ষা। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষের অধিকার হরণ করে টিকে থাকা যায় না। আওয়ামী দুঃশাসনের ১৬ বছরের খুন, গুম, হত্যা, দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজির ইতিহাস—সবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান—এই প্রেক্ষাপটেই শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।”
সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে