আজ থেকে এক বছর আগে, এই দিনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ঢাকাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশে ইসলামি আদর্শ নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্দেশ্যে কারফিউ জারি করেছিল। তখন দেশের ছাত্র-যুব সমাজ ও সাধারণ মেহনতী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কারফিউ ভেদ করে রাস্তায় নেমেছিল। তাদের ঐক্যের ফলেই সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয় এবং এভাবেই ৫ আগস্টের সৃষ্টি ঘটে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র্যালি ও সমাবেশে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “এই ৫ আগস্ট শুধু একটি দিনের ঘটনা নয়, প্রায় ১৬ বছর আগে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অন্যায়ভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য বাংলাদেশের নিরপেক্ষ স্বাধীনতা হরণ করে অন্যের হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে দেশ দখল করেছিল। সেই দখলের মাধ্যমে ২০১৪ সালের নির্বাচন দিয়ে একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বুঝতে পেরেছিলেন, যদি ওই নির্বাচন হয়, তাহলে দেশের মানুষ চিরকাল দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকবে। তাই তিনি বলেছিলেন, দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় লৌহজং উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় “৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয় বর্ষপূর্তি” পালন উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র্যালির আগে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুস সালাম আজাদ আরও বলেন, “আরো এক ষড়যন্ত্র চলছে যাতে সরকার নির্বাচন করতে না পারে। কিন্তু যেমন করে তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচারীরা পালিয়ে গিয়েছিল, তেমনি আগামী দিনে আমাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে এই সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিদায় হবে। ওই নির্বাচনে জননেতা তারেক রহমান নেতৃত্ব দিবেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় সরকার গঠিত হবে, যা জনগণের মঙ্গলের সরকার হবে।”
এরপর ঘোড়দৌড় বাজারস্থ বিএনপির প্রধান কার্যালয় থেকে বিজয় র্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মালিরঅংক মোড় হয়ে থানা সামনে এসে শেষ হয়।
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কোহিনুর শিকদারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য এম শুভ আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মোল্লা ও ওমর ফারুক অবাক।
অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন তেউটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সাগর বেপারী, খিদিরপাড়া ইউনিয়ন আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান লাভলু, গাঁওদিয়া ইউনিয়ন সদস্য সচিব বাদল হোসেন হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আরমান হোসেন পান্নু, মেদিনী মন্ডল ইউনিয়ন সদস্য সচিব আজিজুল জলিল জুয়েল, ফিরোজ আলম মিয়া, শান্ত পাঠান, আবু তাহের মৃধা, লৌহজং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন খান, নজরুল ইসলাম ধলু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল-আমীন খান, মাহবুব আলম টিটু, রিপন তালুকদার, সেচ্ছাসেবক দলের ওমর ফারুক রাসেল, তানভীর আহম্মেদ অভি, ছাত্রদলের সিরাজুল ইসলাম শিপন, রানা হোসেন রনি, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নার্গিস আলম, রোকেয়া বেগম, বৃষ্টি আক্তারসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিজয় র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।
একুশে সংবাদ/মু.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

