ঝালকাঠির নলছিটিতে হত্যা মামলার এক পলাতক আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে `জুলাই যোদ্ধা` ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি পরিচয় দিয়ে পুলিশের ওপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, রোববার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যার পর নলছিটি থানার এসআই আখতার হোসেন ঝালকাঠির সরমহল গ্রামের একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. আল-আমিন সরদারকে মানপাশা বাজার এলাকা থেকে আটক করেন।
আটকের খবর পেয়ে আসামির ভাই আবু মুছা সরদার দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন। তিনি নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর পুলিশকে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন।
একপর্যায়ে আবু মুছা সরদার ও তার সহযোগীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং সেই সুযোগে আটক আল-আমিন সরদারকে ছিনিয়ে নেন। এতে এসআই আখতার হোসেন গুরুতর আহত হন বলে জানা গেছে।
ঘটনার পরপরই নলছিটি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিনিয়ে নেওয়া আসামির ফেলে যাওয়া একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি আল-আমিন সরদার ও আবু মুছা সরদারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
উল্লেখ্য, পলাতক আসামি আল-আমিন সরদার ও ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মূল অভিযুক্ত আবু মুছা সরদার সরমহল গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইছহাক সরদারের ছেলে। তাদের পরিবারের আরও দুইজন সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন—একজন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান সরদার এবং অন্যজন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ঈসা সরদার।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে