রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগে ‘ম্যাক্সওয়েল হোমস অ্যান্ড প্রোপার্টিজ লিমিটেড’ নামের একটি অবৈধ হাউজিং কোম্পানির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক কৃষক।
রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ তোলেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের নিমতলী গ্রামের বাসিন্দা হরি কমল বিশ্বাস। তিনি জানান, তার পৈতৃক জমি জাল কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে ম্যাক্সওয়েল হোমস অ্যান্ড প্রোপার্টিজ।
হরি কমল বিশ্বাস বলেন, “আমি একজন সাধারণ কৃষক। আমার পৈতৃক জমি যা আমার পরিবারের একমাত্র সম্পদ—সেটি অবৈধভাবে দখল করে হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলছে এই কোম্পানি। আমার কাছে বৈধ দলিল ও খাজনা পরিশোধের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও বিচার পাইনি।”
তিনি আরও বলেন, কোম্পানিটি বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়েছে। সেই জমির কোনো মূল্য এখনও পরিশোধ করা হয়নি। উল্টো প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে হরি কমল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, তার প্রতিবন্ধী ভাই কৃষ্ণ কমল বিশ্বাসের জমিও কোর্টের অনুমতি ছাড়া দখল করে নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়েছে কোম্পানিটি। বর্তমানে তারা পরিবারসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি জানান, স্থানীয় আরও অনেকের জমি জোরপূর্বক দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করছে ম্যাক্সওয়েল। একই জমি একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেও প্রতারণা করা হচ্ছে। রাজউক, গণপূর্ত ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, সরকারি কিছু কর্মকর্তা ও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও এই অনিয়মে জড়িত।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা, ভূমি মন্ত্রণালয়, রাজউক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমার জমি ফিরিয়ে দিন এবং কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই প্রতারণার শিকার না হয়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে