AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দুদকের অভিযান: পীরগঞ্জে নানা অনিয়মে জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স



দুদকের অভিযান: পীরগঞ্জে নানা অনিয়মে জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উদাসীনতা ও নার্সদের অবহেলার কারণে রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালের গুদামে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এছাড়া রোগীদের জন্য পরিবেশিত খাবারের মানও নিম্নমানের এবং ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় তারা হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলে নানা অভিযোগ সংগ্রহ করেন।

অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা মো. আজমির শরিফ মারজী জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের রান্নাঘর, গুদামঘর ও বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা হয়েছে। রোগীদের দেয়া খাবার নিম্নমানের এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী নয়। গুদামে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত থাকার পরও ডাক্তাররা বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ সংগ্রহের নির্দেশ দিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার নিয়ম মেনে অফিসে আসেন না এবং সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার উদাসীনতার কারণে নার্সরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দায়িত্ব পালন করছেন। ষ্টোররুমে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকার পরও নার্সরা রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কেনার জন্য বলছেন। এই অবহেলার কারণে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাসপাতালে বহির্বিভাগের ওষুধ সরবরাহের রেজিস্ট্রারও দুই মাস ধরে হালনাগাদের কোনো তথ্য প্রদান করেননি। কর্মরত নার্স ইনচার্জের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১০০টি সরকারি এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন (সেপট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন ১ গ্রাম) পাওয়া গেছে। এছাড়া, ৩২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৪ জন ডাক্তার কর্মরত রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, কিছু রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকার কারণে রোগীদের বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে অতিরিক্ত খরচে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার সিভিল সার্জন অফিসে মিটিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে

Link copied!