চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত নগরীর বিভিন্ন সড়ক সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। দেখা গেছে, নগরীর বেশ কিছু নালা অতীতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছিল, যার ফলে বৃষ্টির পানি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না।
তিনি জানান, বর্ষাকালে পরিকল্পিতভাবে নালাগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চলবে। আগামী তিন মাস নালা সংস্কারের কাজ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া খাল সংস্কার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নগরীর বাটালি হিল, টাইগারপাস, চকবাজার, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট ও ফরিদা পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন মেয়র। তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তা, ড্রেনেজ ও অবকাঠামোর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় ফরিদা পাড়ার একটি ভবনের জানালা থেকে এক বাসিন্দাকে নালায় ময়লা ফেলতে দেখে মেয়র নিজেই ভবন মালিককে ফোন করে সতর্ক করেন এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ করলে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মেয়র জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক ইতোমধ্যে নগরীর সব সেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছে। তিনি বলেন, “আমরা একটি কন্টিনিউয়াস মনিটরিং-এর মধ্যে আছি। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে। জোয়ারের পানিও একটি বড় কারণ, এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সুইস গেট সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পাম্পিং হাউজ স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়াসাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বর্ষার তিন মাস যেন তারা কোনো ধরনের সড়ক কাটাকাটি না করে। নালায় ময়লা ফেলা ও ড্রেনেজ লাইনে প্রতিবন্ধকতা জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সচেতনতা বাড়াতে অভিযান ও প্রচারণা জোরদার করবো।”
মেয়র শহরবাসীর প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শুধু সিটি কর্পোরেশন নয়, শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। বাসার ময়লা খাল-নালায় ফেললে জরিমানা করা হবে। এসব ময়লার কারণে পানি জমে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে, যা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন হলে শহর হবে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ।”
পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফরহাদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম, শাফকাত আমিনসহ প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে