গাজীপুরের টঙ্গীতে খোলা ড্রেনে পড়ে প্রাণ হারানো ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতি (৩২)-এর মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মা-হারা জমজ দুই সন্তানের হৃদয়বিদারক কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে চুয়াডাঙ্গার আকাশ-বাতাস। স্বজন ও এলাকাবাসী জ্যোতির শেষ দেখার জন্য ভিড় করেন তাদের বাড়িতে।
মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন মসজিদে জানাজা শেষে পুরাতন কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে—জ্যোতির জমজ সন্তান মায়ের কবরের পাশে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
নিহত জ্যোতি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত বাবলু মেম্বারের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
গত রোববার রাতে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় খোলা একটি নালায় পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি। ওই ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ে শালিকচূড়া বিলে। তিন দিন পর, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শালিকচূড়া বিল থেকেই তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
জ্যোতি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি টঙ্গীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের কাজে গিয়েছিলেন।
নিহতের বড় ভাই মো. শোভন বলেন, “বোনের ফোন বন্ধ পেয়ে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর ব্যবহৃত জুতা পাই, তখনই নিশ্চিত হই তিনি নিখোঁজ হয়েছেন।”
এদিকে রাতে দাফনের সময় জ্যোতির জমজ সন্তানদের কান্নায় উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। “আম্মু কি আর আসবে না?”—এক শিশুর এমন প্রশ্নে শোকাহত পরিবেশ আরও ভারী হয়ে ওঠে।
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে