AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ



কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি অবৈধভাবে গঠিত একটি এডহক কমিটি বাতিলের উদ্দেশ্যে কমিটির দুই সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন। মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রজৌল নবী এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা যায়, চলতি বছরের ৬ মার্চ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় একটি এডহক কমিটি অনুমোদন করে। এর পাঁচ দিন পর, ১১ মার্চ সুপার জিয়াউর রহমান মাদ্রাসার সভাপতি রজৌল নবীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে বোর্ডের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। একই সঙ্গে, শিক্ষক প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান এবং অভিভাবক সদস্য বাবুল হোসেনের নামে ভুয়া পদত্যাগপত্র দাখিল করে কমিটি বাতিলের আবেদন করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট দুই সদস্যের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। ২৪ মে মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত এক সভায় শিক্ষক, কর্মচারী ও কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে বর্তমান কমিটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে, ২১ মে সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তারা বলেন, “সভাপতি কখনও টাকা চেয়েছেন বলে শুনিনি। তালিকা পাঠানো নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল মাত্র।” পদত্যাগপত্রে শিক্ষকের স্বাক্ষর সম্পর্কে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান বলেন, “আমি কোনো পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিনি।” স্বাক্ষর যাচাই করে দেখা যায়, দাখিলকৃত স্বাক্ষরের সঙ্গে তাঁর স্বাভাবিক স্বাক্ষরের কোনো মিল নেই। অভিভাবক সদস্য বাবুল হোসেনও নিশ্চিত করেন, “আমি কমিটি থেকে পদত্যাগ করিনি।”

অভিযুক্ত সুপার জিয়াউর রহমান বলেন, “তিনি (সভাপতি) আমাকে বলেছিলেন, কমিটি গঠনের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়েছে, তাই টাকা দিতে হবে। তবে এই দাবির পক্ষে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই এবং আমি বিষয়টি কাউকে জানাইনি।”

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রজৌল নবী বলেন, “এ ধরনের জালিয়াতি শুধু আইনবিরোধী নয়, এটি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি চরম অবজ্ঞা। আমি সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য একটি চিঠি দিয়েছে। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেব।”

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 

একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!