ঝালকাঠিতে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ফাঁকা হয়ে পড়েছে, ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। গ্রামের অলিগলি থেকে শহরের রাস্তাঘাট পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে জেলার চার উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে বিরতিহীন বৃষ্টিতে জেলার রাজাপুর নলছিটি শহর, মঠবাড়ি, সাতুরিয়া, বড়ইয়া, শুক্তাগড়সহ বেশ কিছু ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তাওহীদ ও রিপন জানান, “পানির কারণে বাসা থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। দোকানপাটও বন্ধ হয়ে গেছে। রাজাপুরের সড়কগুলোতে হাঁটুসমান পানি জমে থাকায় চলাচলে চরম অসুবিধা হচ্ছে।
জেলার সুগন্ধা বিশখালি,হলতাসহ ১২টি নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বেড়েছে। ফলে নদী পাড়ের অসংখ্য ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় নদী আর সড়ক এক হয়ে গেছে।
এদিকে বিষখালী নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে আগাম ধান, শাকসবজি ও গাছের চারা ডুবে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় গত রাত থেকেই বিদ্যুৎ নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, শুধুমাত্র বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে।
জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, পানি আরও বাড়লে প্লাবিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে