রাজশাহীর তানোরে চুরির অপবাদে এক আদিবাসী কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৩ জুলাই) তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং নির্যাতনকারীর শাস্তির দাবি উঠেছে।
নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম বিপুল (১৬)। তিনি মুন্ডুমালা পৌরসভার মাহালীপাড়া গ্রামের সরেশের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার কচুয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের বাড়িতে স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে পরদিন বুধবার বিপুলকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গাছে বেঁধে চুরির অভিযোগে মারধর করা হয় এবং জোর করে স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। একপর্যায়ে মারধরের মুখে চুরির দায় স্বীকার করলেও তার কাছ থেকে কোনো চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বিপুল এর আগেও এলাকায় কাজ করতে এসেছিল, তবে কখনো তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠেনি। তারা মনে করেন, নির্যাতনের ভয়ে বিপুল মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অনেকেই বলেন, “যদি সে চুরি করে থাকে, তাহলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যেত। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লুৎফর রহমান বলেন, “সে চুরি না করলে আমার বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করত না। তাই গাছে বেঁধে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি অনুরোধ করেন, “এসব নিয়ে যেন কোনো সংবাদ প্রকাশ না করা হয়।”
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে