জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ শীর্ষক একটি বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে মান্দা উপজেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কশব ভোলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ রাসেল রানার স্মরণে একটি জারুল গাছের চারা রোপণ করা হয় এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
শহীদ রাসেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে চারাটি রোপণ করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী। উপজেলা প্রশাসন এবং রাজশাহী সোশ্যাল ফরেস্ট্রি প্ল্যানটেশন সেন্টার (এসএফপিসি) যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ও নজরুল ইসলাম, উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দেবাশিষ দে, কশব ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক কামরুল আরেফিন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিদা খাতুন, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরাফাত হোসেনসহ শহীদ রাসেলের বাবা পিন্টু রহমান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী বলেন,
“শহীদের আত্মত্যাগ স্মরণে প্রতীকী বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫০০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। গাছের সঙ্গে শহীদের জীবনকথা জানাতে QR কোড যুক্ত নামফলকও সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গাছের পরিচর্যার পাশাপাশি শহীদের আত্মত্যাগ সম্পর্কেও জানতে পারে।”
প্রসঙ্গত, শহীদ রাসেল রানা (২০) ছিলেন কশব ভোলাগাড়ী গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের (২০২৪) ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাঁকে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট নম্বর ২৭২ প্রকাশ করে সরকার।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে