নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি নির্মাণাধীন ভবনের লিফট শ্যাফট থেকে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের ঘটনায় দায়েরকৃত ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্তকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
গত শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী বাজারের পাশে থাকা তাকওয়া টাওয়ারের নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের ফাঁকা স্থানে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় কয়েকজন শিশু। খবরটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে বিষয়টি জানানো হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয় মাকসুদুল হাসান জনি (৩০) নামে এক যুবক হিসেবে। তিনি নিমাইকাশারী এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করে, জনিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পরপরই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় র্যাব-১১ তৎপর হয়ে ওঠে। র্যাব-১১ এর একটি চৌকস দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন তথ্য ও গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে র্যাব-১১ সিপিএসসি, আদমজী ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বাগমারা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়।
অভিযানে বাগমারা এলাকার আব্দুল মমিন মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮) নামের ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একুশে সংবাদ/না.প্র/এ.জে