AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভালুকায় ত্রিপল মার্ডার: ধারালো দা ও রক্তমাখা চাদর উদ্ধার



ভালুকায় ত্রিপল মার্ডার: ধারালো দা ও রক্তমাখা চাদর উদ্ধার

ময়মনসিংহের ভালুকায় এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে কাঁপছে পুরো এলাকা। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খারুয়ালি গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে মা ও দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন—ময়না আক্তার (৩০), তার মেয়ে রাইসা বেগম (৭) এবং ছেলে নীরব (২)। নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের বাসিন্দা এবং সন্তু মিয়ার ছেলে। তিনি ভালুকার একটি পোশাক কারখানা—রাসেল স্পিনিং মিলে কর্মরত।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম খারুয়ালি গ্রামের ফাইয়ুম মিয়ার মালিকানাধীন দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন তারা। নজরুল ইসলাম ছিলেন পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।

সোমবার সকালে কাজ থেকে ফিরে এসে বাসার মূল দরজায় তালা দেখতে পান রফিকুল। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে ডেকে আনেন। পরে বারান্দার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে স্ত্রীর ও দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ধারালো দা এবং রক্তমাখা বিছানার চাদর জব্দ করেছে।

ঘটনার পর থেকেই নজরুল ইসলাম নিখোঁজ রয়েছেন, যিনি নিহত পরিবারের সঙ্গেই বাস করতেন। পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং খোঁজ করছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কীভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিস্তারিত তদন্তের পর জানানো হবে।”

তবে কী কারণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো—তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয়দের কেউই এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো ধারণা দিতে পারেননি। পুলিশও এখনো কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নয়।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও আতঙ্কের ছায়া। স্থানীয়দের দাবি, অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

 


একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!