AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নির্মাণ ত্রুটিতে সিংগাইর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবনে ফাটল, পাঁচ মাসেই পানি চুঁইয়ে ঝরছে



নির্মাণ ত্রুটিতে সিংগাইর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবনে ফাটল, পাঁচ মাসেই পানি চুঁইয়ে ঝরছে

মাত্র পাঁচ মাস আগেই উদ্বোধন হওয়া মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নবনির্মিত ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। বৃষ্টির সময় ছাদ ও দেয়াল চুঁইয়ে পানি পড়ছে—এমন অবস্থা দেখে ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন অফিস স্টাফ, দলিল লেখক এবং সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অত্যাধুনিক এ ভবনটি চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু স্বল্প সময়েই ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল, পানি চুঁইয়ে পড়া এবং ভেতরে পানি জমে যাওয়ার মতো ত্রুটি ধরা পড়েছে।

সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে অফিসের মোহরা কক্ষ ও রেকর্ডরুমে পানি জমে যায়। সাব-রেজিস্ট্রার ও সহকারী কর্মকর্তার কক্ষের ছাদ ও দেয়ালে বড় ফাটল দেখা দেওয়ায় অনেকেই ভবন ধসের আশঙ্কা করছেন।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায় ১৫০ জন দলিল লেখক ও ৫০ জন নকলনবিশ কর্মরত রয়েছেন। ভবনের নিম্নমানের কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেবা নিতে আসা একাধিক দাতা-গ্রহীতা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “৪ কোটি টাকা খরচের ভবন থেকে পানি চুঁইয়ে পড়া আর ফাটল দেখা দেওয়াটা অকল্পনীয়।”

জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আউয়াল শরীফ খোকন বলেন, “বিল্ডিংটি ব্লক ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এবং সঠিকভাবে কিউরিং না হওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করছি। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই।”

এ বিষয়ে পিডব্লিউডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন,“হস্তান্তরের সময় ভবনের ত্রুটিগুলো দেখা যায়নি। তবু বিষয়টি জয়া কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা সমস্যাগুলো ঠিক করে দেবে।”

জয়া কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিন সরকার বলেন,“এক সপ্তাহের মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে।”

প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের রহমান বলেন,“সলিড ব্রিকস ব্যবহারের কারণে কিছু স্থানে সমস্যা হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলে আমাকে একটু সময় দিলে সব ঠিক করে দেব।”

সাব-রেজিস্ট্রার মো. মামুন বাবর মিরোজ জানান, “ছাদ থেকে পানি পড়ে, দেয়ালে ফাটল ধরেছে, এবং ভবনের নিচ থেকে বালু সরে গেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নির্মাণকালে তদারকির অভাব ছিল এবং ভবন হস্তান্তরের পর সংশ্লিষ্টরা আর খোঁজ নেননি।”

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না থাকার কথা জানিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ হোসেন বলেন,
“আমি এই প্রথম শুনলাম। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করব।”

 

একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!