পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর ছুঁড়ে ও কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শহিদি মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার চূড়ান্ত উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম শাহীন। তিনি বলেন,“রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে একজন নিরীহ ব্যবসায়ীকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা কেবল বর্বরতাই নয়; এটি আমাদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির প্রকাশ।”
তিনি আরও বলেন,“সোহাগ হত্যার মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে— রাজধানীর বুকে কেউ নিরাপদ নয়। চাঁদাবাজদের না বললে আজ মৃত্যুই পুরস্কার।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ সদর শাখার সেক্রেটারি মুহাম্মাদ সাদিকুল ইসলাম,ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, দাওয়াহ সম্পাদক এইচ এম সাইফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সদর সভাপতি তাকরীম আহমাদ শাদাব, পৌর সভাপতি খাইরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সাবেক সভাপতি জোবায়ের আহমাদ ।
বক্তারা বলেন,“এই হত্যাকাণ্ড শুধু সোহাগ নয়, বরং পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ওপর হামলা। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং চাই— সোহাগ হত্যার বিচার হোক দ্রুত, কঠোরভাবে।”
তারা আরও বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধীদের বেপরোয়া করে তুলছে। দেশের মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সমাবেশের শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা খাইরুল্লাহ হুসাইনী। তিনি নিহত সোহাগের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিক্ষোভে কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের কণ্ঠে ছিল—“সোহাগ হত্যার বিচার চাই”, “নিরাপদ ঢাকা চাই”, “চাঁদাবাজদের রক্ষা নয়, বিচার চাই”।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জেও দেখা দিয়েছে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ।
একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে