চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখায় একই বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর সংযুক্ত না হওয়ায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৬৩ জন পরীক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সকল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী টেড ইনস্ট্রাকশন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করেছে। ফল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার সকালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁরা ফলাফল বাতিল করে সুষ্ঠু তদন্ত ও সমাধান দাবি জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অর্ক বলেন, “সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়েছি, কিন্তু ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর না থাকায় ফেল করেছি। দোষ কার, জানি না। তদন্ত করে সমাধান চাই।”
আরেক শিক্ষার্থী মিম বলেন, “আমরা ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়েছি, নম্বর শিক্ষকরাই দিয়েছেন। স্কুলের সঠিক তদারকির অভাবে এমনটা হয়েছে।”
শিক্ষক তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, “আমরা সময়মতো ব্যবহারিক নম্বর পাঠিয়েছি। বোর্ডে কারিগরি ত্রুটির কারণে নম্বর যুক্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে। এখন ২৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ম্যানুয়ালি বোর্ডে ফল সংশোধনের আবেদন করতে হবে। আশা করছি, রোববারের মধ্যে সমাধান হবে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, “কারিগরি ত্রুটির কারণে এ সমস্যা হয়েছে। ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আমরা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে।”
এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষকদের গাফিলতির দায় শিক্ষার্থীদের কাঁধে চাপানো অন্যায়। সংশ্লিষ্টদের শাস্তি ও দ্রুত ফল পুনর্নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।”
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে