কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির ‘রক্তাক্ত জুলাই’র বীরত্বগাথা ইতিহাস স্মরণে আলোচনা সভা ও আহতদের সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করেছে। এসময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সাংবাদিকসহ আহত চল্লিশ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আজ (১১ জুলাই) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি রিসোর্টে এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হোসেন আবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি হাফেজ মাজহারুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও কুমিল্লা জেলার সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহবায়ক আবু রায়হান, ছাত্রশিবির কুবি শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ ইউসুফ ইলাহী।
কুমিল্লা জেলা জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, `এই দেশের প্রায় সব লোকেরই মনে এটা একটা ভাবনা ছিল যে শেখ হাসিনা না মরা পর্যন্ত এই দেশ শান্তি পাবে না। এটা শুধু রাজনৈতিক দলের লোকেরাই নয় সকল সাধারণ মানুষের মনেই চিন্তাটা ছিল। এরই মাঝে ছাত্র ভাই বোনদের বিপ্লবের কারণে আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যার ফলে ২ হাজার মানুষ শহিদ হয়েছে, তাছাড়া ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আল্লাহ যেন জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং যারা আহত হয়েছে তাদেরকে যেন আল্লাহ দ্রুত সুস্থতা দান করেন।`
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও কুমিল্লা জেলার সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন রুবেল বলেন, `কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পুলিশি হামলা হয়, যা এই গণঅভ্যুত্থানে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। আমি বলতে চাই এই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গণঅভ্যুত্থানের জন্মদাতা। আমরা চাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর যে লাঠিয়াল বাহিনীর হামলা হয়েছিল তার বিচার হোক। সেই সাথে আমরা চাই ১১ জুলাইকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। সেই সাথে আমি বলতে চাই আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ১১ জুলাইকে স্মরণ করব এবং অন্তরে ধারণ করব।`
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ মাজহারুল ইসলাম বলেন, `আমাদের যে রক্তিম জুলাই, ১১ জুলাই ২০২৪। আজ সেই দিনকে স্মরণ করার জন্যই আজকের এই আয়োজন। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে আমাদের এই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আজকের এই আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি চলছে ব্লাড ক্যাম্পিং ও গ্রাফিতি অঙ্কন। এছাড়াও এই জুলাই আন্দোলনে যারা আহত হয়েছে ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।`
একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে