গাজীপুরের শ্রীপুরে এক কিন্ডার গার্টেন শিক্ষার্থীকে নকল পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি ও মারধরের ঘটনায় আবু কাওসার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠেছে, এ ন্যক্কারজনক ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি—একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ওবাইদুল ।
প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ঘটনার মূল হোতা প্রেমিক উবাইদুলকে মামলার আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটে শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের হাজী মার্কেট এলাকায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফেরদৌস জানায়, বিদ্যালয় ছুটির পর সে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলভ্যানের জন্য অপেক্ষা করছিল। এমন সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওবাইদুলের নেতৃত্বে ফেরদৌসের ওপর হামলা মারধর করা হয়। স্থানীয় দোকানদার আসু মিয়া বিষয়টি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলেও হঠাৎ করে সন্ত্রাসী কায়দায় মৃত ইমান আলীর ছেলে আবু কাওসার নকল পিস্তল হাতে নিয়ে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তোলে।
সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়—আবু কাওসার পিস্তল নিয়ে ফেরদৌসকে ভয় দেখিয়ে মারধর করতে করতে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
ফেরদৌসের অভিযোগ, সহপাঠী ওবাইদুল একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই প্রেমের বিষয়কে কেন্দ্র করে উবাদুল ও ফেরদৌসের মধ্যে একাধিকবার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় উাবইদুল ফেরদৌসকে মারধর করে।
এ সময় উবাইদুলের প্রতিবেশী বড় ভাই এমদাদুল হকের ছেলে আরাফাত বিষটি জানার জন্য এগিয়ে গেলে পাশের দোকানদার আসু মিয়া আরাফাতের উপর চরাও হয়ে তাকে বেধরক মারধর করে। পরে আরাফাত তার পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে ঘটনা বড় আকার ধারণ করে।
এ সময় হঠাৎ আবু কাওসার পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি ও মারধর করে ফেরদৌসকে। এর ঘটনার সকল নেপথ্যে প্রেম কাহিনি, মূল হোতা ওবাইদুল।
ফেরদৌস আরও বলে, ঘটনার নেপথ্যে ওবাইদুলের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও ভুক্তভোগী ফেরদৌসের মা দাবি করেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাশেমের প্রভাবেই মূল হোতা ওবাইদুলকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ওই সময় আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম আমরা সবাই ।
হাজী প্রি ক্যাডেট বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাশেম তার মনমতো আসামি দিয়েছে এবং ঘটনার নেপথ্যে ওবাইদুলের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি—এই হামলার নেপথ্য নায়ক ওবাইদুলকে আইনের আওতায় না আনা হলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। তারা দ্রুত তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে কঠোর বিচার দাবি করেন।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

