নোয়াখালী জেলায় টানা ভারী বৃষ্টির ফলে প্রায় ৬৩ হাজার ৮৬০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে জনমনে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ২৬৮টি পরিবার ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে বহু ঘরবাড়ি, সড়ক ও কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, “বৃষ্টির কারণে ঘরের ভেতর পর্যন্ত পানি ঢুকে গেছে। চারপাশ প্লাবিত। তবে রাতের পর থেকে বৃষ্টি না থাকায় এখন একটু ভালো লাগছে। ২০২৪ সালের বন্যায় আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম, এবার যেন তেমনটা না হয়।”
কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, “এবারের পানি গত বছরের চেয়েও বেশি। অনেকের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে, ঝড়ের বাতাসে ঘরের চালও উড়ে গেছে। বেশিরভাগ মানুষ এখন আশ্রয়কেন্দ্রে।”
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “জেলায় ৯ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছে। ১০১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৫০০ টন চাল, ২ হাজার ৭৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৮ লাখ টাকা নগদ সহায়তা মজুত রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে