চাকরির ব্যস্ততা, প্রবাস জীবনের সংগ্রাম—সবকিছুর মাঝেও আরবি ক্যালিগ্রাফির চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারী গ্রামের কৃতি সন্তান মো. ইয়াছিন ফরাজি।
মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কর্মরত এই প্রবাসী দিনের কর্মঘণ্টা শেষে হাতের লেখায় ফুটিয়ে তুলছেন পবিত্র কোরআনের আয়াত ও ইসলামিক শিল্পকর্ম।
ছোটবেলায় আঁকাআঁকির প্রতি আগ্রহ না থাকলেও জীবনের পথ ঘুরে গেছে চট্টগ্রামের নানুপুর ওবাইদিয়া আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর।
সেখানে শিক্ষকদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় শুরু হয় ইয়াছিনের হাতের লেখা শেখার যাত্রা। মুফতি আমিনুল ইসলাম ও মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমীর দিকনির্দেশনায় নিয়মিত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে ক্যালিগ্রাফির প্রতি গভীর ভালোবাসা।
মাদরাসা জীবনে গভীর রাতেও বারান্দায় বসে চলত তার লেখার অনুশীলন। সেই অধ্যবসায়ই এক সময় প্রশংসিত হতে থাকে শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে। পরে ৫ বছর কিতাব বিভাগে পড়াশোনার শেষে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান ইয়াছিন ফরাজি।
চাকরির পাশাপাশি আরবি ক্যালিগ্রাফির অনুশীলন চালিয়ে যেতে ইউটিউব থেকে খুঁজে বের করেন বাংলাদেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘উসামা ক্যালিগ্রাফি একাডেমি’।
২০২৪ সালের ৪ জুলাই থেকে তিনি একাডেমিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। বর্তমানে অনেকেই তার ক্যালিগ্রাফিকৃত শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসাও করছেন।
তার মতে, ‘এটি শুধু একটি শখ নয়, বরং আমার আত্মপরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।’
ভবিষ্যতে আরবি ক্যালিগ্রাফিকে আরও পেশাদারভাবে রপ্ত করে নিজেকে একজন স্বতন্ত্র শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে চান ইয়াছিন ফরাজি।
তার এই নিষ্ঠা, শ্রম এবং ভালোবাসা অনুপ্রেরণা হতে পারে অনেক তরুণের জন্য। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার এই সৃজনশীল যাত্রাপথে।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে