নাটোরের বড়াইগ্রামে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত জুলাই পদযাত্রার পথসভা মঞ্চে উঠে শিশুপুত্র মিনহাস হোসেন আবীর হত্যার বিচার চাইলেন তার মা আঁখি খাতুন ও বাবা মিলন হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে বনপাড়া কালিকাপুর বাইপাসে অনুষ্ঠিত এনসিপির পথসভায় আবীরের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,“আমার ৯ বছরের ছেলেটিকে কেউ নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পুলিশ বলছে, ১২ বছরের এক শিশু খুন করেছে, কিন্তু একা সে আমার ছেলেকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে মারতে ও মরদেহ ভুট্টা ক্ষেতে টেনে নিয়ে যেতে পারে না। এর পেছনে নিশ্চয়ই আরও বড় কেউ আছে। আমি চাই প্রকৃত খুনিরা গ্রেফতার হোক এবং এমন নৃশংসভাবে শাস্তি পাক, যেমনটা আমার সন্তান পেয়েছে।”
আবীরের বাবা মিলন হোসেন বলেন,“আমার সঙ্গে শত্রুতা থাকলে আমাকে মারতেন, আমার নিরীহ ছেলেটিকে কেন হত্যা করলেন? আমি শুধু চাই, খুনিদের ফাঁসি হোক।”
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রাতে মহিষভাঙ্গা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরির পাশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে আবীরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে বনপাড়া আদিব ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। পুলিশ এই হত্যাকে বন্ধু হযরত আলী মোল্লার (১২) সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহার সংক্রান্ত বিরোধ থেকে সংঘটিত বলে জানালেও পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্যে বলেন,“শিশু আবীর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত না হলে এনসিপি রাজপথে প্রতিবাদ জানাবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক এলাকাবাসী।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন,“হযরত আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।”
একুশে সংবাদ/না.প্র/এ.জে