কুড়িগ্রামে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে “জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ” নির্মাণের লক্ষ্যে স্থান নির্বাচন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, এবং সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শুরুর আগে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত স্থানসমূহ পরিদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে শহরের কলেজ মোড়স্থ বিজয় স্তম্ভের পাশেই “জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ” নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন— কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরুজুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী মো. মুকুল মিয়া, এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক ডা. নজরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ , সাংবাদিক সাইয়েদ আহমেদ বাবুসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা শহীদদের স্মৃতির যথাযথ মর্যাদা রক্ষায় স্থায়ী ও মর্যাদাপূর্ণ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এর দ্রুত বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে