সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যেকোনো সময় ঘোষিত হতে পারে নতুন আহ্বায়ক কমিটি। বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা, তদবির ও লবিং।
বিশেষ করে চামরদানী ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদে সবচেয়ে আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী হোসেন। ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই বিএনপি কর্মী দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এবং বর্তমানে সম্ভাব্য সদস্য হিসেবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ইউনিয়ন কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের অতীত কার্যক্রম, রাজনৈতিক নিষ্ঠা এবং ত্যাগ যাচাই-বাছাই করছেন। বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে—যেসব নেতাকর্মী বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন, দমন-পীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হয়েছেন।
এ বিষয়ে মো. আলী হোসেন বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছি। আওয়ামী দুঃশাসনের সময় বহুবার হয়রানির শিকার হয়েছি, কিন্তু তবুও দলের পাশে থেকে কাজ করে গেছি। আশা করি, দল আমার এসব ত্যাগ ও নিষ্ঠার যথাযথ মূল্যায়ন করবে।"
দলীয় সূত্র আরও জানায়, আন্দোলন-সংগ্রামে সংগঠনের ভিতকে শক্তিশালী করতে নতুন কমিটিগুলোতে ত্যাগী, পরীক্ষিত ও জনসম্পৃক্ত নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/সু.প্র/এ.জে