দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এই তরুণ প্রজন্মের, গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু আগস্টের পর সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে নানা পক্ষ সরে গেছে।`এনসিপির `জুলাই পদযাত্রা`র অংশ হিসেবে আজ সোমবার সিরাজগঞ্জ মুক্তির সোপানে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, `এই সিরাজগঞ্জ জেলায় ০৪ আগষ্ট বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ফ্যাসিবাদকে হটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। গণঅভ্যুত্থানে ১৩ জন শহীদ হয়েছেলিন এই সিরাজগঞ্জ জেলায়। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের মানুষ যেভাবে লড়াই করেছিল বুক চিতিয়ে, সিরাজগঞ্জ ছাত্র-জনতা-শিক্ষক সবাই রাজপথে নেমেছিল। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদকে হটাতে সক্ষম হয়েছিলাম।`
`আমাদের এবারের লড়াই দেশ গঠনের। কারণ আমরা স্পষ্টভাবেই বলেছি শুধু সরকারের পতন হলেই হবে না, দেশ সংস্কারের মাধ্যমে নতুন করে এই বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে। এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে হবে যেখানে গণতন্ত্র থাকবে, সমতা থাকবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইশতেহারে মানুষের অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক মুক্তির কথা থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সিরাজগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, মাত্র এক বছর আগে কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে যারা ক্ষমতায় দীর্ঘায়িত হতে চেয়েছিল তাদের আজকের বাংলাদেশে ঠাঁই হয়নি। যদি এখনো আমরা সেই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন থেকে শিক্ষা না নেই, তবে তাদের পরিণতিও সেই দিকেই যাবে।`
জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো মিথ্যা আশ্বাস দিতে আসেনি` মন্তব্য করে তিনি বলেন, `তরুণরা এখন দেশ গঠন করতে চায়। আপনারা সেই তরুণদের সহায়তা করুন, ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ান। আমরা বিশ্বাস করি ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা যেভাবে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছিলাম, সেই একইভাবে আমরা এই বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব।`
নাহিস ইসলাম আরো বলেন, `আমরা বলছি জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। আমরা বলছি গণঅভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে, সংবিধানে স্বীকৃতি থাকতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ। আমরা কোনো ধরনের টালবাহানা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।
একুশে সংবাদ/সি.প্র/এ.জে