AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
সহজ শর্তে ঋণের প্রলোভন:

মাদারগঞ্জে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও ‘এনজিও’


Ekushey Sangbad
সাইফুল, মাদারগঞ্জ, জামালপুর
০২:৫২ পিএম, ২ জুলাই, ২০২৫

মাদারগঞ্জে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও ‘এনজিও’

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় "সহজ শর্তে ঋণ" দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে একটি ভুয়া এনজিও। মাত্র ১১ হাজার টাকা জমা দিলেই এক লাখ টাকা ঋণ—এমন আকর্ষণীয় অফারের ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে ঋণ বিতরণের কথা থাকলেও দুপুরের পর থেকে এনজিওর কোনো কর্মী বা কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এনজিওটির সঞ্চয় বইয়ে "সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা" নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৪৩৯/১৯৯০ উল্লেখ থাকলেও সেটি কোন সংস্থার রেজিস্ট্রেশন—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অফিসের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে মিরপুর ২, ডি-ব্লক, ঢাকা।

ভুক্তভোগীরা জানান, গত দুই দিন ধরে ‘সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন ২০০ টাকার বিনিময়ে সদস্য সংগ্রহ করে এবং ১১ হাজার টাকা জমা দিলে দুই বছরের কিস্তিতে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে বলে জানায়। তবে সংগঠনের কোনো সদস্য তাদের পূর্ণ নাম বা পরিচয় প্রকাশ করেনি।

মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার ক্ষুদ্র জোনাইলের ভুক্তভোগী শিউলী বেগম জানান,“মঙ্গলবার সকালে তারা বলে আমাকে ৩ লাখ টাকা ঋণ দেবে। তার বিনিময়ে ৩৩ হাজার টাকা নিয়েছে। তারা বালিজুড়ী বাজারের দোস্ত মার্কেট মল্লিকা প্লাজায় থাকা তাদের অফিসে নিয়ে যায় এবং জানায়, বিকেল ৩টায় ভবনের ছাদে ঋণ বিতরণ হবে। কিন্তু বিকেলে এসে দেখি অফিসে তালা লাগানো, কেউ নেই।”

একই এলাকার মিনা বেগম বলেন,“তারা গত দুই দিন ধরে আমাদের এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে। মঙ্গলবার সকালে ৬০ হাজার টাকা জমা দিই ৬ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার আশায়। বিকেলে এসে দেখি লোকজন ভিড় করছে, কিন্তু ‘এনজিও’র কেউ নেই।”

ভিন্ন ভিন্ন সময় টাকা জমা দিয়েছেন আরও অনেকেই: শিপা আক্তার – ১১ হাজার, লাকি বেগম – ১১ হাজার, ইতি খাতুন – ১১ হাজার, চায়না বেগম – ১১ হাজার, তাহমিনা – ১১ হাজার, ফরিদা বেগম – ২২ হাজার টাকা ।

দোস্ত মার্কেট মল্লিকা প্লাজার মালিক ইমান আলী বলেন, “সোমবার বিকেলে কয়েকজন লোক এসে বলেন এটি আকিজ কোম্পানির অফিস হবে এবং তারা অফিস ভাড়া নিতে চান। মঙ্গলবার বিকেলে চুক্তির কথা ছিল। এখন শুনছি তারা প্রতারণা করেছে।”

সংস্থাটির দেওয়া মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, “এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 

একুশে সংবাদ/জা.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!