ভালুকাবাসীর বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন পূরণে সাহসী এক পদক্ষেপ নিয়েছে ভালুকা উপজেলা প্রশাসন। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের মানসিক প্রশান্তি ও সুস্থ বিনোদনের জন্য নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি আধুনিক, পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব বিনোদন কেন্দ্র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে এবং তাঁর সরাসরি তত্ত্বাবধানে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এই মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হবে। তাঁর দূরদর্শী পরিকল্পনা ও অবিচল নিষ্ঠার ফসল হিসেবে এই উদ্যোগ আজ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে।
প্রস্তাবিত আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রটিতে থাকবে—
মিনি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক – শিশুদের জন্য আনন্দময় সময় কাটানোর সুবর্ণ সুযোগ
সর্বজনীন পাঠাগার – পাঠপ্রেমী ও জ্ঞানান্বেষীদের জন্য নিরিবিলি পাঠের স্থান
ব্যাডমিন্টন ইনডোর মিনি স্টেডিয়াম – ক্রীড়াপ্রেমী যুবসমাজের জন্য মানসম্পন্ন অবকাঠামো
বিস্তীর্ণ ওয়াকওয়ে – হাটাহাটি, ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তির পথ
ফ্লোটিং গোলঘর – প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে শান্তিপূর্ণ আড্ডার স্থান
ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “ভালুকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি নিরাপদ ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ বিনোদন কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আমরা সেই দাবি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এই কেন্দ্রটি কেবল বিনোদনের নয়, এটি হবে পরিবার, সংস্কৃতি ও সচেতনতার একটি মিলনমেলা। ইনশাআল্লাহ, সকলের সহযোগিতায় প্রকল্পটি দ্রুতই বাস্তবায়ন শুরু হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধু শিশুদের নয়, পরিবারের সব সদস্যের জন্য এটি হবে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ সময় কাটানোর জায়গা। তাঁরা ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এটি ভালুকার জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন:“আমরা বহুদিন ধরেই এমন কিছু চাচ্ছিলাম। ইউএনও সাহেব বাস্তবেই আমাদের কথা ভেবে কাজ করছেন—তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
সচেতন মহল বলছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভালুকা শুধু একটি উন্নয়নশীল উপজেলা নয়, বরং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আধুনিক নাগরিক চাহিদার সমন্বয়ে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে দেশের সামনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ভালুকাবাসীর স্বপ্ন আর কেবল স্বপ্ন নয়—এটি বাস্তবতার পথে এগিয়ে চলেছে। এটি এক নিঃশব্দ বিপ্লব, যেখানে উন্নয়ন, মনন এবং মানবিকতা মিলেছে এক অভিন্ন স্রোতে—এক নতুন ভালুকার গৌরবময় যাত্রা।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে