বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আগামীর রাজনীতি যেন আর কখনও ফ্যাসিবাদের জন্ম না দেয়, বরং জনগণের প্রত্যাশা যেন পূরণ হয়। রাজনীতিকরা যেন দলের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করেন।”
গতকাল শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার শহরের শাহ মোস্তফা রোডে জামায়াতের সাবেক জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মরহুম দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিবের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি মরহুমের কবর জিয়ারত করে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
পরিবারের বড় ছেলে দেওয়ান শরীফুজ্জামান, দেওয়ান কামরুজ্জামান শিবলী, দেওয়ান মাশকুরুজ্জামানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জন প্রবাসী, তার মৃত্যুতে ৫ জন দেশে এসেছেন।
সাক্ষাৎকালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সাবেক জেলা আমির আব্দুল মান্নান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলীসহ জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর ডা. শফিকুর রহমান কুলাউড়ার শেরপুর গ্রামের নাফিসা জান্নাত আনজুম হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কবর জিয়ারত শেষে বাড়িতে গিয়ে কান্নাজড়িত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, “এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এটি প্রমাণ করে আমরা কী ধরনের সমাজে বসবাস করছি। খুনিকে রক্ষার চেষ্টা হলে জনগণ তা সহ্য করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো প্রভাবশালী মহল মামলাটিকে প্রভাবিত করতে চায়, তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জালেমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।”
স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা যেন ন্যায়ের পক্ষে থাকেন, কোনো অন্যায় বা পক্ষপাত যেন না হয়। এই মজলুম পরিবারকে সহায়তা করলে দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ হবে।”
পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটির মা পর্দার আড়াল থেকে মেয়ের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। জামায়াতের আমির সেখানে দোয়া পরিচালনা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
সাংবাদিকরা রাজনৈতিক প্রসঙ্গ তুললে ডা. শফিক বলেন, “আজ আমি একজন পিতার মতো এসেছি, রাজনীতির কথা আজ বলব না। এই মেয়ে যদি আমার মেয়ে হতো, আমি কীভাবে নিজেকে সামলাতাম—আপনারা বুঝুন।”
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে