গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রস্তাবিত রংপুর ইপিজেড বাস্তবায়ন ও অবৈধ দখলদার ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইউএনও অফিসে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে জনতা।
রবিবার (২২ জুন) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ কর্মসূচিতে কয়েক’শ ছাত্রজনতা অংশ নেন। এ কারণে সকাল ৯টা থেকে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
এ সময় ইউএনওসহ কোনো কর্মকর্তা অফিসে ঢুকতে না পারায় উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে থাকে প্রায় তিন ঘণ্টা। ছাত্র-জনতার ব্যানারে আসা বিক্ষোভকারীরা প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা স্থায়ী এই অবরোধ কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে সকল দাবি মেনে নিয়ে ইপিজেড নির্মাণের কাজ শুরু না করলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও অবিলম্বে অবৈধ জমি দখলদারদের নেতা স্বপন শেখ ও তাদের মদতদাতা জেলা পর্যায়ের চিহ্নিত কতিপয় নেতার গ্রেপ্তার এবং ইপিজেড চালুর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বক্তব্য রাখেন, এম এ মতিন মোল্লা, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রাশেদ রায়হান, মাকসুদ রহমান, রফিকুল ইসলাম রফিক, মোস্তাকিন, মিশকাত হাসান, কৌশিকসহ অন্যরা।
স্থানীয় আন্দোলনকারী জনতা ও চিনিকল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন, গাইবান্ধা জেলার একমাত্র কৃষিভিত্তিক ভারী শিল্প কারখানা উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের একটি অংশে সরকার একটি ইপিজেড স্থাপনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্তু চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ হওয়ার পর স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্র দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কতিপয় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজনকে জমি পাইয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে তাদের সামনে রেখে ধীরে ধীরে খামারের প্রায় সমুদয় জমি দখলে নিয়ে এখানে প্রশাসন বা সরকারি কোনো মানুষকেই প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। জমির মালিকানার কোনো দলিল বা প্রমাণপত্র না থাকলেও কেবল তীর-ধনুক ও দেশীয় নানা ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষদের ঢাল হিসেবে সামনে রেখে আন্দোলনের নামে প্রশাসন ও জনতাকে ভয় দেখিয়ে হয়ে জমি দখল করে তা ইজারা দিয়ে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বের ঘাটতি করছে এই ভূমিদস্যুরা। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী এবার আন্দোলনে নেমেছে।
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে