মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, যুক্তফ্রন্ট সরকারের সাবেক বন ও খাদ্য মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা গৌর চন্দ্র বালার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার (১৮ জুন) ফরিদপুরে পারিবারিক আয়োজনে পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলিস্থ তার নিজ বাসভবন `বালা বাড়ি`তে গীতা পাঠ ও পূজা-অর্চনার আয়োজন করা হয়। পারিবারিক পরিবেশে আয়োজিত এ স্মরণ অনুষ্ঠানে তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
গৌর চন্দ্র বালা ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ও প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা প্রবীর কান্তি বালা ওরফে পান্নার পিতা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৮ জুন ফরিদপুর শহরের নিজ বাসভবনে তিনি পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রেখে যান।
এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি:
১৯৫৪ সালে পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় প্রথমে বন, পরে খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬২-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত স্বৈরাচারী আইউব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ফরিদপুর-৩ (বালিয়াকান্দি-কামারখালী) আসন থেকে পুনরায় প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে, তিনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
গৌর চন্দ্র বালার অবদান স্মরণ করে পরিবার, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় সচেতন মহল দিনটি গভীর শ্রদ্ধায় পালন করেছেন।
একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে