নেত্রকোনার মদনে ছয় বছরের শিশু সৌরভ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ সোমবার রাতে দেওসহিলা গ্রাম থেকে ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটকরা হলেন দেওসহিলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম লালন, তার ভাই নুপুর মিয়া, এফজি চৌধুরী, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর চৌধুরী, অপু চৌধুরী ও জয় মিয়া।
মঙ্গলবার এ খবর লিখার সময় পর্যন্ত আটকদের নিকট থেকে হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার শিশু সৌরভের লাশ একটি গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি জানার জন্য মঙ্গলবার দেওসহিলা গ্রামে গেলে জিয়াকে গ্রামের বাড়িতে পাওয়া যায়নি, তাদের পরিবারের ৬টি ঘরের পুরুষ লোক নেই, দুই ভাই রয়েছেন আটক।
নিহতের চাচা নিকসন চৌধুরী জানান, আমার ভাতিজার মৃত্যুর সংবাদ চতুরর্দিকে ছড়িয়ে পড়ার আগেই সাবেক ইউপি সদস্য লালন মিয়ার ছোট ভাই জিয়া আমাদের বাড়িতে রক্তমাখা শরীর নিয়ে এসে বলে তোমার ভাতিজাকে চৌধুরী বাড়ির লোকজন মেরে ফেলেছে। এ কথা শুনে আমরা চৌধুরী বাড়ির দিকে ছুটে যাই। এর পর থেকেই জিয়া বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য বের হয়ে আসবে।
মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, শিশু সৌরভ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে সোমবার রাতে সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম লালনসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি। তবে জিয়াকে দ্রুত আটকের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/নে.প্র/এ.জে