ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ছাত্রদল নেতা মো. হুমায়ন কবীর (২১) কে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে সহনাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হুমায়ন ওই গ্রামের মো. আব্দুল কাইয়ূমের ছেলে এবং সহনাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তদের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, ফলে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেলে সহনাটি গ্রামে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হুমায়নকে হত্যা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. মনিরুজ্জামান মানিক জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তিনি দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অপরদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছে, হুমায়ন কবীর এলাকায় চিহ্নিত এক মাদক কারবারি রাসুকে মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করেছিল। এর জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুমায়নের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালায়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, উত্তেজনার কারণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে