কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিহতদের মধ্যে তিনজন পর্যটক, একজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং দুইজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি।
সোমবার (৯ জুন) কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, ছয়টি মরদেহের মধ্যে পাঁচটি উদ্ধার করা হয়েছে সদর থানা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে। আরেকটি পাওয়া গেছে রামুর হিমছড়ি সংলগ্ন পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা মো. রাজিব কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে স্নান করতে নামেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাত ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় ডায়াবেটিস পয়েন্ট থেকে।
সোমবার দুপুরে সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্টে রাজশাহীর বাসিন্দা শাহীনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাত (২০) গোসলে নেমে ঢেউয়ে তলিয়ে যান। পরে লাইফগার্ড কর্মীরা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা নুরু সওদাগরের মরদেহ পাওয়া যায় নাজিরারটেক এলাকায়। তিনি আগের দিন মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
একই সময়ে বাঁকখালী নদীর মোহনা এলাকা থেকে একটি অজ্ঞাত গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যার পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৈয়বুর রহমান জানিয়েছেন, হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে আরেকটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সি-সেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্য সাইফুল্লাহ সিফাত জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের কারণে সৈকতের কিছু স্থানে হঠাৎ গভীরতা তৈরি হয়, যাকে ‘গুপ্ত খাল’ বলা হয়। পর্যাপ্ত সতর্কতা না মানলে এসব স্থানে গোসলে নামা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/ এ.জে