বরিশালের বানারীপাড়ায় ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের আরো তিন দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেপ্তর করেছে র্যাব ও বানারীপাড়া থানা পুলিশ।
সোমবার (২ জুন) দিবাগত গভীর রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় উপজেলার দক্ষিণ বাইশারী গ্রামে মিজানুর রহমান বাবুলের বাড়িতে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানারীপাড়া থানার উপপরিদর্শক চন্দন কুমার রায়ের নেতৃত্বে র্যাব-১০’র একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে এবং ৪ জুন সকালে তাদের বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মীর লিটন ওরফে আলামিন (৫০), স্বরূপকাঠি উপজেলার পশ্চিম সোহাগদল গ্রামের সোহাগ বেপারী (৩৫), উত্তর-পশ্চিম সোহাগদল গ্রামের নাসির মাঝী (৪০)। এরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
ঐ ডাকাতির ঘটনায় ৫ মে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন কুমার রায়ের নেতৃত্বে পরিচালিত থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে র্যাব -৮`র সহায়তায় বরিশালের গড়িয়ারপাড় এলাকা হতে বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের বাদশা (৫০), বরগুনার শিয়ালিয়া এলাকার সেলিম (৫২) ও সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার গ্রামের ডালিমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়। বানারীপাড়া থানা ইনচার্জ মোহাম্মদ মোস্তফার কৌশলী অভিযান এবং থানার উপপরিদর্শক চন্দন কুমার রায়ের নিপুন নেতৃত্বে কয়েকদিনের ব্যবধানে ডাকাতি মামলায় জড়িত দুর্ধর্ষ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার করে।
এই গ্রেপ্তারের মধ্য থেকে জনগণে প্রশাসনের প্রতি আস্থা এবং ভালোবাসা দৃঢ় এবং আতঙ্কিত জনজীবন থেকে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ বাইশারী গ্রামের দফাদার বাড়ির মিজানুর রহমান বাবুলের (বাবুল দফাদারের) বিল্ডিংয়ের জানালার গ্রিল কেটে একদল ডাকাত ভিতরে প্রবেশ করে বাবুল দফাদার ও তার পুত্রবধূ নুসরাত ও তার এক বছর বয়সী মেয়ে সামিয়ার গলায় ধারলো অস্ত্র ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ দুই লক্ষাধিক টাকা, ৮-১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
ঐ দিনই বিকেলে মিজানুর রহমান বাবুল বাদী হয়ে চিহ্নিত ১ জন ও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বানারীপাড়া থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
একুশে সংবাদ/ ব.প্র/এ.জে