পবিত্র ঈদুল আজহা আর মাত্র চার দিন বাকি। এ উপলক্ষে যশোরের কেশবপুর উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুহাট। বুধবার (৪ জুন) সাপ্তাহিক হাটবার উপলক্ষে পৌর শহরসহ উপজেলার ছয়টি স্থানে বসেছে পশুহাট, যেখানে দেশি গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার বিপুল উপস্থিতি দেখা গেছে।
উপজেলার কেশবপুর পৌর শহর, শুড়িঘাটা, ভাণ্ডারখোলা, মঙ্গলকোট, সাতবাড়িয়া ও সরসকাটি বাজারে বসা হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এবারে ভারতীয় গরুর তুলনায় দেশি গরুর আধিক্য বেশি। বিশেষ করে পৌর শহরের হাটে শুধু দেশি খামারে পালিত পশুই বিক্রি হচ্ছে, যা ক্রেতাদের কাছে আস্থা ও সন্তুষ্টির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সকালে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত জমজমাট বেচাকেনা চলছে। ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা এবার বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ভারতীয় গরু না থাকায় দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরুর চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। এতে খুশি খামারিরা। তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার লাভজনক বেচাকেনা হচ্ছে।
মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, “বাজারে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর চাহিদা ও দাম বেড়েছে। এতে আমরা খুশি।” তবে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন, দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অনেকে গরুর বদলে ছাগল কোরবানির দিকে ঝুঁকছেন।
রামপাল থেকে গরু কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “আমাদের এলাকায় দাম বেশি হওয়ায় এখানে এসেছি, কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। শেষ পর্যন্ত আমি ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি, যা থেকে আনুমানিক ৮ মণ মাংস হবে বলে আশা করছি।”
উপজেলা সদরের পশুহাটের মালিক আফজাল হোসেন বাবু বলেন, “এবার প্রচুর দেশি গরু, ছাগল ও মহিষ এসেছে। প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার গরু বিক্রি হচ্ছে। ৭০ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে হাটে।”
তিনি আরও বলেন, “জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, বাজারে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ভালো ব্যবস্থার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা নির্ভয়ে লেনদেন করতে পারছেন। শেষ মুহূর্তে আরও বেশি বেচাকেনা হবে বলে আমরা আশা করছি।”
একুশে সংবাদ/ য.প্র/এ.জে