দুধের মতো ধবধবে সাদা ও বিশালদেহী হওয়ায় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘সাদা পাহাড়’। আনুমানিক ৪০ মণ ওজন হবে এমন ধারণা গরুটির মালিকের। সাদা পাহাড়কে একনজর দেখতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
এমন কি কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বেশ কয়েক বার সাদা পাহাড়কে দেখতে বুলবুল মিয়ার বাড়ি এসেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়ে গেছেন সাদা পাহাড়ের সুস্থতা ও আলাদা যত্ন নিতে।
এলাকার মানুষ ধারণা করছেন, এই গরুটিই উপজেলায় সবচেয়ে বড় গরু। আর এখন কোরবানির হাট কাঁপাচ্ছে এই সাদা পাহাড়।
‘সাদা পাহাড়’ নামে খ্যাত ৪০ মণ ওজনের এই গরুটির মালিক নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামের কৃষক বুলবুল মিয়া।
সরেজমিনে কথা হয় বুলবুল মিয়ার সাথে। তিনি জানান, ৪ বছর আগে গ্রামের ব্যপারীর কাছ থেকে ফ্রিজিয়াম জাতের সাদা রঙের এই ষাঁড় বাছুরটি সাড়ে ৬৭ হাজার টাকায় কিনেছিলাম। তার পর থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী ও ছেলেরা ৪-৫ জন মিলে গরুটির লালনপালন করি। খুব শান্ত স্বভাবের। সখ করে নাম রাখি ‘সাদা পাহাড়’।
সাদা পাহাড়ের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে, ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, অ্যাঙ্কর, খৈল এবং ১৬টি বড় (বুইত্ত্যা) কলা ছানা করে খাওয়ানো হয়। তার পেছনে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ১২০০ টাকা। মোটর থেকে পানি তুলে পাইপ দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ বার গোসল করাতে হয়। গরমে আরামের জন্য ২টি ফ্যান ও মশা তাড়াতে দৈনিক ৪টি করে কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। বুলবুল মিয়া আরও বলেন, খুব সখ করে সন্তানের মতো লালনপালন করছি। এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রি করে দেব।
কেমন দাম চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম চাইব না। যে বা যারা সাদা পাহাড়কে নেবেন তারা নিজেরাই দেখে মেপে দাম করে নিয়ে যাবেন।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কামরুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম বলেন, কেন্দুয়া উপজেলায় এখন পর্যন্ত জানা মতে বুলবুল মিয়ার ‘সাদা পাহাড়’ গরুটিই সবচেয়ে বড়। কোরবানির পশুর হাটে এটি আকর্ষণীয় হবে বলে আমরা মনে করছি।
একুশে সংবাদ / নে.প্র/এ.জে