AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চরভদ্রাসনে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট



চরভদ্রাসনে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন  উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৪টি গরুর হাট বসেছে। এবার পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চরভদ্রাসনে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৫০০টি। অথচ প্রস্তুত রয়েছে ১৫ হাজার ৪১০টি পশু। এর মধ্যে ষাঁড় ৩ হাজার ৭০০টি, গাভী ৫০০টি, মহিষ ১০টি, ছাগল ১০ হাজার ৫০০টি ও ভেড়া ৭০০টি। বলদ ও অন্যান্য শ্রেণির পশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়।

উপজেলার  বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রচুর গরু এনেছেন। কেউ কেউ খামার থেকেই গরু বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে সদর উপজেলার পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক, নসিমন, ভটভটিসহ নানান রকম যানবাহনে হাটে পশু নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। হাটে মাঝারি গরুর সংখ্যা বেশি। বেশিরভাগ ক্রেতার অভিযোগ, গরু-ছাগলের চড়া দাম হাঁকা হচ্ছে। ফলে হাট ঘুরে পশু না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক ক্রেতাকে।

কোরবানির জন্য ছাগল কিনতে আসা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাটে পর্যাপ্ত গরু ছাগল আছে। তবে দাম একটু বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। দেখি আরও কয়েক দিন বাকি আছে। দরদামে মিললে কিনব।

গরু কিনতে আসা ক্রেতা শফিকুল মল্লিক বলেন, হাটে গরু দেখেছি। তবে এখনও কাঙ্ক্ষিত দামে গরু মেলেনি। দাম একটু বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। প্রকৃত খামারির তুলনায় হাটে ব্যাপারী বেশি।

গরু ব্যবসায়ী করিম মোল্লা বলেন, গরু যে দামে কেনা, তার থেকেও দাম কম বলছে ক্রেতারা। গরু অনুযায়ী গরুর দাম অনেক কম বলে এজন্য তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না। দেশি ও মাঝারি গরু কেনা লোকের সংখ্যা এখানে বেশি।

আরেক বিক্রেতা শফিক হোসেন বলেন, ৫টি গরু এনেছিলাম, দু’টি বিক্রি করেছি। বড় গরুর চাহিদা কম এখানে। তবে কেনার থেকে দাম শোনার লোকের সংখ্যা বেশি।


উপজেলা  প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম জানান, গরুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। প্রাকৃতিক খাবারে গরু পালনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো হরমোন বা কেমিক্যাল যাতে ব্যবহার না করে, তারও পরামর্শ দিয়েছি আমরা। আমার বিশ্বাস যে তারা এটা কখনও করবে না। আজকের এই হাটে যে গরুগুলো উঠেছে সেগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ গরু। আমরা এসে অসুস্থ কোনো গরু দেখতে পাইনি। হাটে দেশি গরুর সংখ্যাও বেশি।


চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রোজিউল্লাহ খান বলেন, সকাল থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত পশুহাট থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ ওই হাটে থাকবে এবং টহল দিবে। চাঁদাবাজি ও হয়রানি যাতে না হতে পারে, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। জাল নোটের কোনো বিষয় যদি কারও নজরে আসে, তাহলে থানা পুলিশকে জানালে আইনগত যে ব্যবস্থা সেটা গ্রহণ করব।

 

একুশে সংবাদ / ফ.প্র/এ.জে

Link copied!