AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নিখোঁজ শিশুর মরদেহ মিলল সেপটিক ট্যাংকে, সৎ মাসহ আটক ৩



নিখোঁজ শিশুর মরদেহ মিলল সেপটিক ট্যাংকে, সৎ মাসহ আটক ৩

জয়পুরহাটের কালাইয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর ৪ বছরের শিশু রদিয়া আক্তার রুহির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামে বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রদিয়া আক্তার রুহি হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে।  

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহত শিশুর চাচা রেজাউল ইসলামের ছেলে রনি, শিশুর সৎ মা আব্দুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া আক্তার এবং আব্দুর রহমানের শ্বশুর পাঁচবিবি উপজেলার শালট্টি গ্রামের বাসিন্দা জিয়াকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন।

পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুহি কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে। আব্দুর রহমানের প্রথম স্ত্রী পাশেই বাবার বাড়িতে থাকেন। মেয়ে রুহি মায়ের সঙ্গে থাকলেও প্রতিদিন দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যেত। ২৪ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে গিয়ে আর মায়ের কাছে ফিরে আসেনি। রুহির কথা জানতে চাইলে রুহির চাচা ও সৎ মা জানান, তার দাদি বাড়িতে না থাকায় তাকে মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন রুহির মা ও নানা-নানীরা। তাকে কোথাও না পেয়ে পরদিন কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রুহির মা। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রুহির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (রুহির সৎ মা), রুহির চাচা রনি এবং তিনি মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ভেতরে ফেলে দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে রুহির মরদেহ উদ্ধার করেছে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

 

একুশে সংবাদ / জ.প্র/এ.জে

Link copied!