রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের রমানাথপুর গ্রামে কিস্তির চাপ সইতে না পেরে স্ট্রোক করে এমাজউদ্দীন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের দাবি, স্থানীয় আশা ও ব্র্যাক এনজিওর কর্মকর্তারা কিস্তির টাকা আদায়ে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করছিলেন। বিশেষ করে আশা এনজিওর বিল্লি হাট শাখার ম্যানেজার ইব্রাহিম ও ব্র্যাকের দরগাডাঙ্গা শাখার মাঠকর্মী সঞ্জয় কুমার মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বাড়িতে অবস্থান করে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন। এমাজউদ্দীন সময় চেয়ে বলেন, ধান বিক্রি করে পরদিন টাকা দেবেন। কিন্তু কর্মকর্তারা তা না মেনে বলপ্রয়োগ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। একপর্যায়ে তাদের সামনেই স্ট্রোক করেন তিনি।
মৃত্যুর পর এনজিও কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে আশা এনজিওর ম্যানেজার ইব্রাহিম দাবি করেছেন, “তেমন কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। বরং ব্র্যাক এনজিওর পক্ষ থেকেই চাপ ছিল বেশি।” তিনি আরও বলেন, “মৃত্যুর পর পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।”
ব্র্যাক এনজিওর দরগাডাঙ্গা শাখার ম্যানেজার রায়হান উদ্দিন বলেন, “তার মৃত্যুতে আমরা ২০ হাজার টাকা দিয়েছি দাফনের খরচ বাবদ এবং নিয়ম অনুযায়ী তার ঋণ মওকুফ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন একজন নম্রভদ্র ও ভালো গ্রাহক। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, “এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নিহতের মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
একুশে সংবাদ / রা.প্র/এ.জে