AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাগুরার শ্রীপুরে এক পরিবারে চেতনানাশক বিষ স্প্রে করে সর্বস্ব লুট



মাগুরার শ্রীপুরে এক পরিবারে চেতনানাশক বিষ স্প্রে করে সর্বস্ব লুট

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামের রায় পরিবারের সদস্যদের ওপর  মঙ্গলবার (২৭ মে) গভীররাতে দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক বিষ স্প্রে করে অজ্ঞান অবস্থায় সর্বস্ব লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের তিনজন সদস্য মাগুরা সদর হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য সিলেট শাহ্ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায় জানান, তার পিতা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, শ্রীপুর উপজেলা শাখার প্রাক্তন সভাপতি ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হিমাংশু শিখর রায় কয়েকদিন ধরেই শারীরীকভাবে একটু অসুস্থ রয়েছেন । পিতার অসুস্থতার কারণে পরিবারের লোকজন রাতের বেলা সবাই মিলে তার পিতার কাছেই থাকছেন। আর এ কারণেই ওই ঘরের বারান্দার গ্রিল সব সময় খোলা রাখা হয়। কিন্তু বাড়ির প্রাচীর গেট তালাবদ্ধ ছিল। গত মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত অনুমান ১২টা পর্যন্ত বাড়ির লোকজন জেগে ছিলেন।  দুর্বৃত্তরা রাতের কোনো একসময় সুযোগ বুঝে বাড়ির প্রাচীর দেয়াল টপকিয়ে ভীতরে প্রবেশ করে অথবা পূর্ব থেকেই বাড়ির ভিতরে লুকিয়ে ছিল। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে চেতনানাশক বিষ প্রয়োগে বাড়ির সকল সদস্যদের অচেতন করে ফেলে। অচেতন অবস্থায় দুর্বৃত্তরা সুযোগ বুঝে তাদের ইচ্ছামতো সোনা-দানা, নগদ টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন অর্থাৎ বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার সময় তার মামা মনোরঞ্জন রায় বাবু ওই বাড়ির প্রধান গেটে এসে অনেক ডাকাডাকি করে কারো সাড়া-শব্দ না পেয়ে পাশের দরজায় গিয়ে দেখেন দরজা খোলা রয়েছে । তখন দরজা দিয়ে উঁকি মেরে  দেখেন ঘরের মধ্যে সব মালামাল এলোমেলো এবং বাড়ির অভিভাবক রায় হিমাংশু শিখর (৮০), কিশোর কুমার রায়  মধূ (৬০) ও গৃহবধূ চন্দনা রায় (৫০) অচেতন মুমূর্ষু  অবস্থায় পড়ে আছেন । এরপরই তিনজনকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় গাড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের জ্ঞান ফেরেনি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী পবিরারটি চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে।

এ বিষয়ে মাগুরার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পল্লব কুমার সাহা বলেন, রুগীদের ঝুঁকি কেটে গেছে, তবে তাদের সুস্থ হতে আরও কিছু সময় লাগবে। সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যাবে তাদেরকে কোন ধরনের স্প্রে প্রয়োগ করা হয়েছে।    

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রিস আলী বলেন, খবর শোনা মাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বাড়ির সকল সদস্য অচেতন থাকায় কারো কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি জোড়ালোভাবে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে।  আশা করি অতি দ্রুতই দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
 

 

একুশে সংবাদ / মা.প্র/এ.জে

Link copied!