আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ঝালকাঠি জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৮ হাজার ২৭৪টি পশু। জেলার চারটি উপজেলার বিভিন্ন খামার ও গৃহস্থালি পর্যায়ে পশুগুলোর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির উপযোগী পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড়, বলদ, গাভি, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২২২টি, নলছিটিতে ২ হাজার ৮৯১টি, রাজাপুরে ২ হাজার ৭২১টি এবং কাঁঠালিয়ায় ২ হাজার ৬৭০টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলার মোট ৮৩টি প্রচলিত হাট ঈদের সময় পশুর হাটে রূপ নেবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬টি, নলছিটিতে ২৫টি, রাজাপুরে ৩০টি ও কাঁঠালিয়ায় ১৩টি হাট রয়েছে।
স্থানীয় খামারিরা জানান, এ বছর খৈল, ভুষি, খড়সহ পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে ভারতীয় গরু সীমান্ত দিয়ে না আসলে স্থানীয় পশুর চাহিদা বাড়বে এবং লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
রাজাপুর উপজেলার খামারি সাইফুল বলেন, “আমার খামারে ৭টি গরু রয়েছে, এর মধ্যে ৪টি বিক্রির জন্য প্রস্তুত।” সদর উপজেলার এক খামারি জানান, “আমার খামারে ১২টি গরু আছে, এর মধ্যে ৮টি কোরবানির জন্য প্রস্তুত।”
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জানান, “জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ৩০ হাজার। খামারিদের জন্য মেডিকেল টিমের মাধ্যমে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কসাইদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে চামড়া ছাড়ানোর সময় ক্ষতি কম হয়।”
তিনি আরও জানান, স্থায়ী ও মৌসুমি মিলিয়ে ১২০ জন কসাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোরবানির পশু যথাযথভাবে জবাই ও চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা যায়।
একুশে সংবাদ /ঝা.প্র/এ.জে