লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর এবং হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৪০ জন মানুষকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কঠোর বাধার মুখে এই পুশইন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৪ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব-পিলার এবং বনচৌকি সীমান্তে ৭৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রাতে অন্ধকারে ওইসব লোকজনকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাধা দেয়। এতে পুশইন কার্যক্রম ব্যর্থ হয় এবং লোকজন দুই দেশের সীমান্তের মাঝামাঝি অবস্থানে আটকে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে কিছু লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও বিজিবির বাধার মুখে তারা আবার পেছনে সরে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু বিএসএফ তাদের ভারতের দিকে প্রবেশে বাধা দেয়ায় তারা এখন সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবস্থান করছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে আটকে থাকা এসব ব্যক্তি ভারতের আসাম রাজ্য থেকে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের কাছ থেকে আগেই জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড জব্দ করেছে বিএসএফ।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “দুর্গাপুর ও বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোকজনকে বাংলাদেশে প্রবেশ করাতে চেয়েছিল বিএসএফ। আমরা সতর্ক অবস্থানে থেকে তাদের সেই চেষ্টা প্রতিহত করেছি।” তিনি আরও জানান, “যদি সীমান্তে আটকে থাকা ব্যক্তিদের প্রকৃত বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত করা যায়, তবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় সেক্টর পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও সতর্কতা জারি রয়েছে। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ / লা.প্র/এ.জে