জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী সেজে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার (২৪ মে) দুপুরে পরিচালিত এই অভিযানে হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র ধরা পড়ে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক আতিউর রহমান। অভিযানের আগে তারা দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে সাধারণ রোগী সেজে হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করেন।
অভিযান চলাকালে হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজ বংশী এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিচিত্রা রানী কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। অথচ তাঁদের অনুপস্থিতির কোনো পূর্বানুমোদন ছিল না।
এছাড়াও অভিযানে দেখা যায়, আবাসিক রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ২১০ গ্রাম মুরগির মাংসের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১১২ গ্রাম, যা অনিয়মের স্পষ্ট উদাহরণ। ওষুধ বিতরণে যথাযথ রেজিস্ট্রার এন্ট্রির অনুপস্থিতি, রোগীর খাবার ও ওষুধ সরবরাহে ঠিকাদারের গাফিলতি ও দুর্নীতির প্রমাণও পান দুদক কর্মকর্তারা।
হাসপাতালে সাতজন চিকিৎসক কর্মরত থাকার কথা থাকলেও অভিযানের সময় মাত্র তিনজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিচিত্রা রানী ছুটিতে না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উপসহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম জানান,“নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা রোগী সেজে হাসপাতালের বিভিন্ন শাখা ঘুরে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হবে।”
জামালপুর দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল বলেন,“জেলা দুদকের অভিযান চলমান থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজ বংশী দাবি করেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তবে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন,“ডা. দেবাশীষ রাজ বংশীর কাছ থেকে ছুটির কোনো আবেদন পাইনি।”
একুশে সংবাদ/জ.প্র /এ.জে